জাতীয় মহিলা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন একাডেমী ও প্রশিক্ষণ শাখা
দেশের সুষম উন্নয়নে নারীর অংশগ্রহণ একান্ত অপরিহার্য। দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। এ বিশাল জনগোষ্ঠীর সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতাকে উৎপাদনমুখী কাজে সম্পৃক্ত করে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ-স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে বলা যায় স্মার্ট নাগরিকই গড়ে তুলবে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ। তাই স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলতেপ্রশিক্সণ খুবই গুরুত্ব বহন করে।জাতীয় মহিলা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন একাডেমী মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের এ সুবিশাল কার্যক্রমের বাস্তবায়ন এবং গতিশীলতা আনয়নে নিয়োজিত প্রধান কার্যালয়, জেলা ও উপজেলা কার্যালয় চলমান সকল কর্মসূচিতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের পেশাগত মান এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রমকে ভিত্তি করে দক্ষতা উনানয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। নারীর সার্বিক উন্নয়নে দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। স্মার্ট নাগরিকই নারীর সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সে বিবেচনায় তৃর্ণমূল পর্যায়ে স্বল্প শিক্ষিত, দুঃস্থ মহিলাদের কর্মদক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়সহ জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ০৭ টি আবাসিক ও ০১ টি অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ পরিচালিত হচ্ছে। এ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলারাই হচ্ছেউন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ।
অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র:
প্রধান কার্যালয়:
কর্মকর্তা- কর্মচারিদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ:
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চলমান কর্মসূচির সাথে তাল মিলিয়েমহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক গ্রহিত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিভিন্ন বিষয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৮১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারিকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ:স্বল্প শিক্ষিত ও শিক্ষত বেকার নারীদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ০৩ টি ট্রেডে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ০৪ (চার) মাস মেয়াদি এ প্রশিক্ষণে দর্জি বিজ্ঞান, এমব্রয়ডারী, ব্লক-বাটিক এন্ড টাইডাই বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ২০২৩- ২০২৪ অর্থবছরে৯৯ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
উপজেলা মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (WTC):
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে গ্রামীণ মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র(WTC)এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। দেশের ৬৪ জেলার ১৩৬ টি উপজেলায় এ প্রশিক্ষণ পরিচালিত হচ্ছে। প্রশিক্ষণের মেয়াদ ০৩ মাস। উপজেলা পর্যায়ের ৩০ জন স্বল্প শিখিত ও দুঃস্থ মহিলাদের দর্জি বিজ্ঞান বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৫৯৬০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছেন। প্রশিক্ষণার্থীদের দৈনিক ১০০ (একশত) টাকা হারে ভাতা প্রদান করা হয়।
আবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র:
শিক্ষাই উন্নত সমৃদ্ধশালী স্মার্ট বাংলাদেশের পূর্ব শর্ত। শিক্ষিত নাগরিকরা নতুন নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে নিজেদের ও সমাজের জীবন মান বদলে দেবে। আর প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণ লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে মহিলাদের অংশগ্রহণ আজ দৃশ্যমান। স্মার্ট নাগরিকের অংশ হিসেবে নারীর দক্ষতা উন্নয়ন এবং ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরাধীন ০৭ টি আবাসিক ও ০১ অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। দেশের স্বল্প শিক্ষিত মহিলাদের কৃষি প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ট্রেডে নিরাপদ আবাসন ও নারী বান্ধব পরিবেশে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ চলাকালীন প্রশিক্ষণার্থীদের হোস্টেলে বিনা খরচে থাকা ও খাওয়ার সুব্যবস্থা আছে।
১। শহীদ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা প্রশিক্ষণ একাডেমি জিরানী, গাজীপুর:
নারীর পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক মর্যদার জন্য প্রয়োজন নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন।আর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে প্রয়োজন নারীর দক্ষতা অর্জন। দক্ষতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব । শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর নামে জিরানী, গাজীপুরে ১৯৯৮ সালে এ প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ১৮-৩৫ বছর বয়সী মহিলাদেরসার্টিফিকেট -ইন-বিউটিফিকেশন, মোবাইল ফোন সার্ভিসিং, কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন, ড্রেস মেকং এন্ড টেইলারিং এবং ইন্ডাষ্ট্রিয়াল সুইং মেশিন অপারেটর এন্ড মেইনটেচনেন্স ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।বর্ণিত ট্রেডে ৩ মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণকালীন প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর থাকা, খাওয়া ও প্রশিক্ষণ উপকরণ সরকার থেকে বহন করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ভাতা হিসেবে ৯০০-/(নয়শত) টাকা প্রদান করা হয়। সকল ট্রেড কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাথে এফিলিয়েটেড। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ০৪ টি ব্যাচে ৭২২ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান UCEP এর যৌথ উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ইন্ডান্ট্রিয়াল সুইং মেশিন অপারেশন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পারিচালিত হয়। UCEP এর সাথে MOU এর মেয়াদ ডিসেম্বর/২০২৩ খ্রি. শেষ হওয়ায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২৫০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
জনাব কেয়া খান, মহাপরিচালক (গ্রেড-১), মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, ঢাকা কর্তৃক শহীদশেখফজিলাতুন্নেছামুজিব মহিলা প্রশিক্ষণ একাডেমী, জিরানী গাজীপুর এর ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং ও কম্পিউটারঅফিসঅ্যাপ্লিকেশনপ্রশিক্ষণ পরিদর্শন।
২। গ্রমীন মহিলাদের কৃষিভিত্তিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র জিরানী, গাজীপুর (অনাবাসিক):
কথায় আছে Agriculture is the poineer of all culture and Women is the poineer of Agriculture। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায়- শস্যক্ষেত্র উর্বর হরো, পুরুষ চালাল হাল, নারী সেই মাঠে শস্য রোপিয়া করিল সুশ্যামল। কৃষি ক্ষেত্রে নারীর অবদান অনস্বীকার্য । কৃষিতে নারীর সংশ্লিষ্ঠতা ব্যাপক। মোট নারীদের মধ্যে কৃষিকাজে নিয়োজিত নারীর সংখ্যা প্রায় তিন চতুর্থাং। ফসলেন প্রাক বপন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে ফসল উত্তোরন, বীজসংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এমন কি বিপণন পর্যন্ত অনেক কাজ নারী এককভাবে করে থাকেন। বলা চলে কৃষি ও এ উপখাতের মূল চালিকা শক্তি নারী। কৃষি ক্ষেত্রে নারীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মহিলাদের সমন্বিত কৃষি ও মাছ চাষ বিষয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯২ সালে যাত্রা শুরু করে। ০৩ মাস মেয়াদি এ পশিক্ষণে ০৪ ব্যাচে বছরে ৬০ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন।প্রশিক্ষণ চলাকালীন প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/- হারে ভাতা প্রদান করা হয়। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৬০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
উৎপাদিত ফসলতোলালতা জাতীয় ফসলের মাচা তৈরি
৩।মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র জিরাবো, সাভার, ঢাকা:
১৯৮৫ সালে জিরাবো, সাভারে এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়। এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে থেকে কৃষি ক্ষেত্রে মহিলাদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রশিক্ষণার্থীরা এখানে মাশরুম ও জৈব চাষাবাদ, পেষ্ট্রি এন্ড বেকারী প্রোডাক্ট, ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং, বেসিক কম্পিউটার এবং হর্টিকালচার এন্ড নার্সারী বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন। পেষ্ট্রি এন্ড বেকারী প্রোডাক্ট ট্রেডটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাথে এফিলিয়েটেড। ০৩ মাস মেয়াদি ০৫ টি ট্রেডে বছরে ০৪ ব্যাচে প্রশিক্ষণপ্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণকালীন প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর থাকা, খাওয়া ও প্রশিক্ষণ উপকরণ সরকার থেকে বহন করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ভাতা হিসেবে ৯০০-/(নয়শত) টাকা প্রদান করা হয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২৩৮ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। ১৯৯১ সালে এটি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত হয়।
৪। বেগম রোকেয়া প্রমিক্ষণ কেন্দ্র দিঘারকান্দা, ময়মনসিংহ:
নারী জাগরণ ও নারীর অধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। তিনি নারী-পুরুষের সমকক্ষতার যুক্তি দিয়ে নারীর পারিবারিক, সামাজিক, অর্থর্নৈতিক ও রাজনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জন করে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় আহ্বান জানিয়েছেন।তিনি নারী সমাজকে দাসমুক্ত করতে চেয়েছিলেন। আর পশ্চাৎপদ নারীকে স্বাবলম্বী করার জন্য নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের নামে ১৯৯৫ সালে দিঘারকান্দা, মযমনসিংহে এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হাউজকিপিং এন্ড কেয়ার গিভিং, বিউটিফিকেশন, ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং( আবাসিক ও অনাবাসিক) এবং কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন ট্রেডে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদের দক্ষ জনশক্তিরূপে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বিউটিফিকেশন ট্রেডটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাথে এফিলিয়েটেড। ০৩ মাস মেয়াদি প্রতি ব্যাচে ০৪ টি ট্রেডে আসন সংখ্যা ১৫০। বছরে ০৪ টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণকালীন প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর থাকা, খাওয়া ও প্রশিক্ষণ উপকরণ সরকার থেকে বহন করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ভাতা হিসেবে ৯০০-/(নয়শত) টাকা প্রদান করা হয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৫০৭ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন বিউটিফিকেশনহাউজকিপিংএন্ডকেয়ারগিভিং
৫। মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট মোড়েলগঞ্জ, বাগেরহাট:
নারী দক্ষতার সাথে কাজ করবে। এ লক্ষ্যে খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার মোড়েরগঞ্জ উপজেলায় এ প্রমিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ প্রশিক্সণ কেন্দ্র থেকে বিউটিফিকেশন, ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিংএবং কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ০৩ টি ট্রেডই কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাথে এফিলিয়েটেড। ০৩ মাস মেয়াদি বছরে ০৪ টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণকালীন প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর থাকা, খাওয়া ও প্রশিক্ষণ উপকরণ সরকার থেকে বহন করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ভাতা হিসেবে ৯০০-/(নয়শত) টাকা প্রদান করা হয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৩৫৪ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
৬। মহিলা হস্তশিল্প এবং কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দিনাজপুর:
দিনাজপুর অঞ্চলের স্বল্প শিক্ষিত ও শিক্ষিত বেকার নারীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ২০০৪ সালে এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১২ সালে রাজস্বখাতে স্থানান্তরিত হয়। এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আধুনিক গার্মেন্টস, ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং ও বেসিক কম্পিউটার ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং ট্রেডটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাথে এফিলিয়েটেড। প্রশিক্ষণকালীন প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর থাকা, খাওয়া ও প্রশিক্ষণ উপকরণ সরকার থেকে বহন করা হয়। ০৩ মাস মেয়াদি বছরে ০৪ টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ভাতা হিসেবে ৯০০-/(নয়শত) টাকা প্রদান করা হয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২২৫ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
৭। মা-ফাতেমা (রাঃ) মহিলা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কমপ্লেক্স সারিয়াকান্দি, বগুড়া:
নারীর দক্ষতা ও অর্থনেতিক উন্নয়ন কল্পে বগুড়া জেলাধীন সারিয়াকান্দি উপজেলায় ২০০০ সালে মা-ফাতেমা (রাঃ) মহিলা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কমপ্লেক্স স্থাপন করা হয়। ২০০৬ সালে এটি রাজস্বখাতভূক্ত হয়। এ কেন্দ্রে কনজিউমার ইলেক্ট্রনিক্স, মটর সাইকেল সার্ভিসি মেকানিক্স এবং ইলেক্ট্রিশিয়াল ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণকালীন প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর থাকা, খাওয়া ও প্রশিক্ষণ উপকরণ সরকার থেকে বহন করা হয়। প্রশিক্ষণার্থীকে ভাতা হিসেবে ৯০০-/(নয়শত) টাকা প্রদান করা হয়। ০৩ মাস মেয়াদি ০৩ টি ট্রেডে বছরে ০৪ টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১০০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
৮। মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সপুরা, রাজশাহী:
রাজশাহী জেলার সদর উপজেলার সপুরায় মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ২০০১ সালে স্থাপন করা হয় এবং ২০০৮ সালের জুলাই মাসে এটি রাজস্বখাতে স্থানান্তরিত হয়। এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধনকৃত স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির নেতৃবৃন্দের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যুগোপযোগি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণের মেয়াদ ০৫ দিন। প্রশিক্ষণকালীন প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর থাকা, খাওয়া ও প্রশিক্ষণ উপকরণ সরকার থেকে বহন করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে যাতযয়াত ভাতা প্রদান করা হয়। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৫৯৬ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
এছাড়া এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারিদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয়। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৪০ জন কর্মচারি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
স্মারণী
(জুলাই,২০২৩থেকেজুন,২০২৪)
প্রশিক্ষণ/ উদ্যোগীসংস্থারনাম |
প্রশিক্ষণেরবিষয় |
আসন সংখ্যা |
কোর্সেরসংখ্যা |
অংশগ্রহণকারীরসংখ্যা |
|
---|---|---|---|---|---|
জাতীয়মহিলাপ্রশিক্ষণওউন্নয়নএকাডেমী, মহিলাবিষয়কঅধিদপ্তর, ঢাকা
|
ডি-ফাইলিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ |
|
১০ ব্যাচ |
২৪৮ জন |
|
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ও তথ্য অধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ |
|
০৪ ব্যাচ |
১৪০জন |
||
শিষ্টাচার ও দাপ্তরিক আচারণ বিষয়ক |
|
০২ ব্যাচ |
৫০ জন |
||
প্রমিত দাপ্তরিক ভাষা বিষয়ক প্রশিক্ষণ: |
|
০৩ ব্যাচ |
৭৫ জন |
||
দুর্যোগ মোকাবেলা ও ব্যবস্থাপনা |
|
০৩ ব্যাচ |
৭৫ জন |
||
আধুনিক অফিস ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ |
|
০২ ব্যাচ |
৪৮ জন |
||
মনো-সামাজিক কাউন্সেলিং ও Self Esteem বিষয়ক প্রশিক্ষণ |
|
০৩ ব্যাচ |
৭৫ জন |
||
প্রকল্প/কর্মসূচি প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ |
|
০২ ব্যাচ |
৫০ জন |
||
বাজেট ব্যবস্থাপনা ও আইবাস কার্যক্রমবিষয়ক প্রশিক্ষণ |
|
০২ ব্যাচ |
৫০ জন |
||
উপমোট= |
৮১১ জন |
||||
প্র্রধানকার্যালয়, মহিলাবিষয়কঅধিদপ্তর, ঢাকা |
১। দর্জি বিজ্ঞান |
১৫ |
০৩টি |
৫২ জন |
|
২। ব্লক, বাটিক এন্ড টাইডাই |
১৫ |
০৩টি |
২৫ জন |
||
৩। এমব্রয়ডারী |
১৫ |
০৩টি |
২২ জন |
||
উপমোট= |
৯৯ জন |
||||
শহীদ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা প্রশিক্ষণ একাডেমী, জিরানী, গাজীপুর (আবাসিক) |
১।সার্টিফিকেট -ইন-বিউটিফিকেশন |
৩০ |
০৪টি |
৭২জন |
|
২। মোবাইল ফোন সার্ভিসিং |
১০ |
০৪টি |
৯৫ জন |
||
৩। কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন |
৬০ |
০৪টি |
২১৭ জন |
||
৪। ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং |
৩০ |
০৪টি |
৮১ জন |
||
৫। ইন্ডষ্ট্রিয়াল সুইংমেশিন অপারেটর এন্ড মেইনটেনেন্স |
৩০ |
০৪টি |
০৭ জন
|
||
৬। ইন্ডষ্ট্রিয়াল সুইংমেশিন অপারেটর এন্ড মেইনটেনেন্স (UCEP এর সাথে MOU এরমাধ্যমে পরিচালিত যা ডিসেম্বর/২০২৩ খ্রি. শেষ হয়) |
১২৫ |
০৪ টি |
২৫০ জন
|
||
উপমোট= |
৭২২ জন |
||||
গ্রামীণ মহিলাদের কৃষি ভিত্তিক প্রশিক্ষন কেন্দ্র জিরানী,গাজীপুর (অনাবাসিক)) |
১। সম্বলিত কৃষি ও মৎস্য চাষ |
১৫ |
০৪টি |
৬০জন |
|
উপমোট= |
৬০ জন |
||||
মহিলা কৃষি প্রশিক্ষন কেন্দ্র, জিরাবো, সাভার, ঢাকা(আবাসিক) |
১। মাশরুম ও জৈব চাষাবাদ |
১০ |
০৪টি |
৩৮ জন |
|
২। পেষ্ট্রি এন্ড বেকারী প্রোডাক্ট |
১৫ |
০৪টি |
৬০ জন |
||
৩। ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং |
১৫ |
০৪টি |
৬০ জন |
||
৪। বেসিক কম্পিউটার |
২০ |
০৪টি |
৮০ জন |
||
উপমোট= |
২৩৮ জন |
||||
বেগম রোকেয়া প্রশিক্ষন কেন্দ্র, ময়মনসিংহ (আবাসিক)
|
১। হাউজ কিপিং এন্ড কেয়ার গিভিং |
২৫ |
০৪টি |
৬৪ জন |
|
২। বিউটিফিকেশন |
২৫ |
০৪টি |
৫৪ জন |
||
৩।ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং |
৫০ |
০৪টি |
১৮৫ জন |
||
৪। কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন |
৫০ |
০৪টি |
২০৪জন |
||
উপমোট= |
৫০৭জন |
||||
মহিলা হস্তশিল্প ও কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, দিনাজপুর (আবাসিক)
|
১। আধুনিক গার্মেন্টস |
২০ |
০৪টি |
৮০জন |
|
২। ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং |
৩০ |
০৪টি |
১০৫ জন |
||
৩। বেসিক কম্পিউটার |
১০ |
০৪টি |
৪০ জন |
||
উপমোট= |
২২৫জন |
||||
মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট,বাগেরহাট (আবাসিক) |
১। বিউটিফিকেশন |
২০ |
০৪টি |
৬৯জন |
|
২। কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন |
৪০ |
০৪টি |
১৫৪ জন |
||
৩। ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং |
৪০ |
০৪টি |
১৩১ জন |
||
উপমোট= |
৩৫৪জন |
||||
মা ফাতিমা (রা:)মহিলা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কমপ্লেক্সসারিয়াকান্দি, বগুড়া |
১। কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স |
২০ |
০৪টি |
৪০ জন |
|
২। মটর সাইকেল সার্ভিস |
১০ |
০৪টি |
২০ জন |
||
৩। ইলেকট্রিশিয়ান |
২০ |
০৪টি |
৪০ জন |
||
উপমোট= |
১০০ জন |
||||
মানবসম্পদ উন্নযন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রাজশাহী (আবাসিক) |
১। স্বেচ্ছাসেবি মহিলা নেতৃবৃন্দের স্বক্ষমতা বিকাশ প্রশিক্ষণ (টার্গেট ছিল ৩৬০ জন) |
- |
- |
৫৯৬জন
|
|
২। অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারিদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ |
- |
- |
৪০ জন |
||
উপমোট= |
৬৩৬জন |
||||
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ৬৪ জেলাধীন ১৩৬ টি উপজেলায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ০৩ টি উপজেলায় (সন্দ্বীপ, ভালুকা ও নাইক্ষংছড়ি)প্রশিক্ষণ বন্ধ আছে। |
দর্জি বিজ্ঞান, এমব্রয়ডারী |
৩০ জন
|
০৪টি |
১৫৯৬০জন |
|
|
উপমোট= |
১৫,৯৬০ জন |
|||
|
সর্বমোট= |
১৯,৭১২ জন |
|||
জাতীয় মহিলা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন একাডেমী ও প্রশিক্ষণ শাখা।
দেশের সুষম উন্নয়নে নারীর অংশগ্রহণ একান্ত অপরিহার্য। দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। এ বিশাল জনগোষ্ঠীর সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতাকে উৎপাদনমুখী কাজে সম্পৃক্ত করে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ-স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে বলা যায় স্মার্ট নাগরিকই গড়ে তুলবে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ। তাই স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলতেপ্রশিক্সণ খুবই গুরুত্ব বহন করে।জাতীয় মহিলা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন একাডেমী মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের এ সুবিশাল কার্যক্রমের বাস্তবায়ন এবং গতিশীলতা আনয়নে নিয়োজিত প্রধান কার্যালয়, জেলা ও উপজেলা কার্যালয় চলমান সকল কর্মসূচিতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের পেশাগত মান এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রমকে ভিত্তি করে দক্ষতা উনানয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। নারীর সার্বিক উন্নয়নে দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। স্মার্ট নাগরিকই নারীর সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সে বিবেচনায় তৃর্ণমূল পর্যায়ে স্বল্প শিক্ষিত, দুঃস্থ মহিলাদের কর্মদক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়সহ জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ০৭ টি আবাসিক ও ০১ টি অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ পরিচালিত হচ্ছে। এ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলারাই হচ্ছেউন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ।
অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র:
প্রধান কার্যালয়:
কর্মকর্তা- কর্মচারিদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ:
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চলমান কর্মসূচির সাথে তাল মিলিয়েমহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক গ্রহিত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিভিন্ন বিষয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৮১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারিকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ:স্বল্প শিক্ষিত ও শিক্ষত বেকার নারীদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ০৩ টি ট্রেডে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ০৪ (চার) মাস মেয়াদি এ প্রশিক্ষণে দর্জি বিজ্ঞান, এমব্রয়ডারী, ব্লক-বাটিক এন্ড টাইডাই বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ২০২৩- ২০২৪ অর্থবছরে৯৯ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
উপজেলা মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (WTC):
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে গ্রামীণ মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র(WTC)এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। দেশের ৬৪ জেলার ১৩৬ টি উপজেলায় এ প্রশিক্ষণ পরিচালিত হচ্ছে। প্রশিক্ষণের মেয়াদ ০৩ মাস। উপজেলা পর্যায়ের ৩০ জন স্বল্প শিখিত ও দুঃস্থ মহিলাদের দর্জি বিজ্ঞান বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৫৯৬০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছেন। প্রশিক্ষণার্থীদের দৈনিক ১০০ (একশত) টাকা হারে ভাতা প্রদান করা হয়।
আবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র:
শিক্ষাই উন্নত সমৃদ্ধশালী স্মার্ট বাংলাদেশের পূর্ব শর্ত। শিক্ষিত নাগরিকরা নতুন নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে নিজেদের ও সমাজের জীবন মান বদলে দেবে। আর প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণ লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে মহিলাদের অংশগ্রহণ আজ দৃশ্যমান। স্মার্ট নাগরিকের অংশ হিসেবে নারীর দক্ষতা উন্নয়ন এবং ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরাধীন ০৭ টি আবাসিক ও ০১ অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। দেশের স্বল্প শিক্ষিত মহিলাদের কৃষি প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ট্রেডে নিরাপদ আবাসন ও নারী বান্ধব পরিবেশে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ চলাকালীন প্রশিক্ষণার্থীদের হোস্টেলে বিনা খরচে থাকা ও খাওয়ার সুব্যবস্থা আছে।
১। শহীদ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা প্রশিক্ষণ একাডেমি জিরানী, গাজীপুর:
নারীর পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক মর্যদার জন্য প্রয়োজন নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন।আর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে প্রয়োজন নারীর দক্ষতা অর্জন। দক্ষতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব । শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর নামে জিরানী, গাজীপুরে ১৯৯৮ সালে এ প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ১৮-৩৫ বছর বয়সী মহিলাদেরসার্টিফিকেট -ইন-বিউটিফিকেশন, মোবাইল ফোন সার্ভিসিং, কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন, ড্রেস মেকং এন্ড টেইলারিং এবং ইন্ডাষ্ট্রিয়াল সুইং মেশিন অপারেটর এন্ড মেইনটেচনেন্স ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।বর্ণিত ট্রেডে ৩ মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণকালীন প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর থাকা, খাওয়া ও প্রশিক্ষণ উপকরণ সরকার থেকে বহন করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ভাতা হিসেবে ৯০০-/(নয়শত) টাকা প্রদান করা হয়। সকল ট্রেড কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাথে এফিলিয়েটেড। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ০৪ টি ব্যাচে ৭২২ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান UCEP এর যৌথ উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ইন্ডান্ট্রিয়াল সুইং মেশিন অপারেশন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পারিচালিত হয়। UCEP এর সাথে MOU এর মেয়াদ ডিসেম্বর/২০২৩ খ্রি. শেষ হওয়ায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২৫০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
২। গ্রমীন মহিলাদের কৃষিভিত্তিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র জিরানী, গাজীপুর (অনাবাসিক):
কথায় আছে Agriculture is the poineer of all culture and Women is the poineer of Agriculture। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায়- শস্যক্ষেত্র উর্বর হরো, পুরুষ চালাল হাল, নারী সেই মাঠে শস্য রোপিয়া করিল সুশ্যামল। কৃষি ক্ষেত্রে নারীর অবদান অনস্বীকার্য । কৃষিতে নারীর সংশ্লিষ্ঠতা ব্যাপক। মোট নারীদের মধ্যে কৃষিকাজে নিয়োজিত নারীর সংখ্যা প্রায় তিন চতুর্থাং। ফসলেন প্রাক বপন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে ফসল উত্তোরন, বীজসংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এমন কি বিপণন পর্যন্ত অনেক কাজ নারী এককভাবে করে থাকেন। বলা চলে কৃষি ও এ উপখাতের মূল চালিকা শক্তি নারী। কৃষি ক্ষেত্রে নারীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মহিলাদের সমন্বিত কৃষি ও মাছ চাষ বিষয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯২ সালে যাত্রা শুরু করে। ০৩ মাস মেয়াদি এ পশিক্ষণে ০৪ ব্যাচে বছরে ৬০ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন।প্রশিক্ষণ চলাকালীন প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/- হারে ভাতা প্রদান করা হয়। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৬০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
৩।মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র জিরাবো, সাভার, ঢাকা:
১৯৮৫ সালে জিরাবো, সাভারে এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়। এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে থেকে কৃষি ক্ষেত্রে মহিলাদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রশিক্ষণার্থীরা এখানে মাশরুম ও জৈব চাষাবাদ, পেষ্ট্রি এন্ড বেকারী প্রোডাক্ট, ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং, বেসিক কম্পিউটার এবং হর্টিকালচার এন্ড নার্সারী বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন। পেষ্ট্রি এন্ড বেকারী প্রোডাক্ট ট্রেডটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাথে এফিলিয়েটেড। ০৩ মাস মেয়াদি ০৫ টি ট্রেডে বছরে ০৪ ব্যাচে প্রশিক্ষণপ্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণকালীন প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর থাকা, খাওয়া ও প্রশিক্ষণ উপকরণ সরকার থেকে বহন করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ভাতা হিসেবে ৯০০-/(নয়শত) টাকা প্রদান করা হয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২৩৮ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। ১৯৯১ সালে এটি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত হয়।
৪। বেগম রোকেয়া প্রমিক্ষণ কেন্দ্র দিঘারকান্দা, ময়মনসিংহ:
নারী জাগরণ ও নারীর অধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। তিনি নারী-পুরুষের সমকক্ষতার যুক্তি দিয়ে নারীর পারিবারিক, সামাজিক, অর্থর্নৈতিক ও রাজনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জন করে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় আহ্বান জানিয়েছেন।তিনি নারী সমাজকে দাসমুক্ত করতে চেয়েছিলেন। আর পশ্চাৎপদ নারীকে স্বাবলম্বী করার জন্য নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের নামে ১৯৯৫ সালে দিঘারকান্দা, মযমনসিংহে এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হাউজকিপিং এন্ড কেয়ার গিভিং, বিউটিফিকেশন, ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং( আবাসিক ও অনাবাসিক) এবং কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন ট্রেডে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদের দক্ষ জনশক্তিরূপে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বিউটিফিকেশন ট্রেডটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাথে এফিলিয়েটেড। ০৩ মাস মেয়াদি প্রতি ব্যাচে ০৪ টি ট্রেডে আসন সংখ্যা ১৫০। বছরে ০৪ টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণকালীন প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর থাকা, খাওয়া ও প্রশিক্ষণ উপকরণ সরকার থেকে বহন করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ভাতা হিসেবে ৯০০-/(নয়শত) টাকা প্রদান করা হয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৫০৭ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
৫। মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট মোড়েলগঞ্জ, বাগেরহাট:
নারী দক্ষতার সাথে কাজ করবে। এ লক্ষ্যে খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার মোড়েরগঞ্জ উপজেলায় এ প্রমিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ প্রশিক্সণ কেন্দ্র থেকে বিউটিফিকেশন, ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিংএবং কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ০৩ টি ট্রেডই কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাথে এফিলিয়েটেড। ০৩ মাস মেয়াদি বছরে ০৪ টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণকালীন প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর থাকা, খাওয়া ও প্রশিক্ষণ উপকরণ সরকার থেকে বহন করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ভাতা হিসেবে ৯০০-/(নয়শত) টাকা প্রদান করা হয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৩৫৪ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
৬। মহিলা হস্তশিল্প এবং কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দিনাজপুর:
দিনাজপুর অঞ্চলের স্বল্প শিক্ষিত ও শিক্ষিত বেকার নারীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ২০০৪ সালে এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১২ সালে রাজস্বখাতে স্থানান্তরিত হয়। এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আধুনিক গার্মেন্টস, ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং ও বেসিক কম্পিউটার ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং ট্রেডটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাথে এফিলিয়েটেড। প্রশিক্ষণকালীন প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর থাকা, খাওয়া ও প্রশিক্ষণ উপকরণ সরকার থেকে বহন করা হয়। ০৩ মাস মেয়াদি বছরে ০৪ টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ভাতা হিসেবে ৯০০-/(নয়শত) টাকা প্রদান করা হয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২২৫ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
৭। মা-ফাতেমা (রাঃ) মহিলা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কমপ্লেক্স সারিয়াকান্দি, বগুড়া:
নারীর দক্ষতা ও অর্থনেতিক উন্নয়ন কল্পে বগুড়া জেলাধীন সারিয়াকান্দি উপজেলায় ২০০০ সালে মা-ফাতেমা (রাঃ) মহিলা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কমপ্লেক্স স্থাপন করা হয়। ২০০৬ সালে এটি রাজস্বখাতভূক্ত হয়। এ কেন্দ্রে কনজিউমার ইলেক্ট্রনিক্স, মটর সাইকেল সার্ভিসি মেকানিক্স এবং ইলেক্ট্রিশিয়াল ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণকালীন প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর থাকা, খাওয়া ও প্রশিক্ষণ উপকরণ সরকার থেকে বহন করা হয়। প্রশিক্ষণার্থীকে ভাতা হিসেবে ৯০০-/(নয়শত) টাকা প্রদান করা হয়। ০৩ মাস মেয়াদি ০৩ টি ট্রেডে বছরে ০৪ টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১০০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
৮। মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সপুরা, রাজশাহী:
রাজশাহী জেলার সদর উপজেলার সপুরায় মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ২০০১ সালে স্থাপন করা হয় এবং ২০০৮ সালের জুলাই মাসে এটি রাজস্বখাতে স্থানান্তরিত হয়। এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধনকৃত স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির নেতৃবৃন্দের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যুগোপযোগি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণের মেয়াদ ০৫ দিন। প্রশিক্ষণকালীন প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর থাকা, খাওয়া ও প্রশিক্ষণ উপকরণ সরকার থেকে বহন করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে যাতযয়াত ভাতা প্রদান করা হয়। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৫৯৬ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
এছাড়া এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারিদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয়। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৪০ জন কর্মচারি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
স্মারণী
(জুলাই,২০২৩থেকেজুন,২০২৪)
প্রশিক্ষণ/ উদ্যোগীসংস্থারনাম |
প্রশিক্ষণেরবিষয় |
আসন সংখ্যা |
কোর্সেরসংখ্যা |
অংশগ্রহণকারীরসংখ্যা |
|
---|---|---|---|---|---|
জাতীয়মহিলাপ্রশিক্ষণওউন্নয়নএকাডেমী, মহিলাবিষয়কঅধিদপ্তর, ঢাকা
|
ডি-ফাইলিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ |
|
১০ ব্যাচ |
২৪৮ জন |
|
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ও তথ্য অধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ |
|
০৪ ব্যাচ |
১৪০জন |
||
শিষ্টাচার ও দাপ্তরিক আচারণ বিষয়ক |
|
০২ ব্যাচ |
৫০ জন |
||
প্রমিত দাপ্তরিক ভাষা বিষয়ক প্রশিক্ষণ: |
|
০৩ ব্যাচ |
৭৫ জন |
||
দুর্যোগ মোকাবেলা ও ব্যবস্থাপনা |
|
০৩ ব্যাচ |
৭৫ জন |
||
আধুনিক অফিস ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ |
|
০২ ব্যাচ |
৪৮ জন |
||
মনো-সামাজিক কাউন্সেলিং ও Self Esteem বিষয়ক প্রশিক্ষণ |
|
০৩ ব্যাচ |
৭৫ জন |
||
প্রকল্প/কর্মসূচি প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ |
|
০২ ব্যাচ |
৫০ জন |
||
বাজেট ব্যবস্থাপনা ও আইবাস কার্যক্রমবিষয়ক প্রশিক্ষণ |
|
০২ ব্যাচ |
৫০ জন |
||
উপমোট= |
৮১১ জন |
||||
প্র্রধানকার্যালয়, মহিলাবিষয়কঅধিদপ্তর, ঢাকা |
১। দর্জি বিজ্ঞান |
১৫ |
০৩টি |
৫২ জন |
|
২। ব্লক, বাটিক এন্ড টাইডাই |
১৫ |
০৩টি |
২৫ জন |
||
৩। এমব্রয়ডারী |
১৫ |
০৩টি |
২২ জন |
||
উপমোট= |
৯৯ জন |
||||
শহীদ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা প্রশিক্ষণ একাডেমী, জিরানী, গাজীপুর (আবাসিক) |
১।সার্টিফিকেট -ইন-বিউটিফিকেশন |
৩০ |
০৪টি |
৭২জন |
|
২। মোবাইল ফোন সার্ভিসিং |
১০ |
০৪টি |
৯৫ জন |
||
৩। কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন |
৬০ |
০৪টি |
২১৭ জন |
||
৪। ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং |
৩০ |
০৪টি |
৮১ জন |
||
৫। ইন্ডষ্ট্রিয়াল সুইংমেশিন অপারেটর এন্ড মেইনটেনেন্স |
৩০ |
০৪টি |
০৭ জন
|
||
৬। ইন্ডষ্ট্রিয়াল সুইংমেশিন অপারেটর এন্ড মেইনটেনেন্স (UCEP এর সাথে MOU এরমাধ্যমে পরিচালিত যা ডিসেম্বর/২০২৩ খ্রি. শেষ হয়) |
১২৫ |
০৪ টি |
২৫০ জন
|
||
উপমোট= |
৭২২ জন |
||||
গ্রামীণ মহিলাদের কৃষি ভিত্তিক প্রশিক্ষন কেন্দ্র জিরানী,গাজীপুর (অনাবাসিক)) |
১। সম্বলিত কৃষি ও মৎস্য চাষ |
১৫ |
০৪টি |
৬০জন |
|
উপমোট= |
৬০ জন |
||||
মহিলা কৃষি প্রশিক্ষন কেন্দ্র, জিরাবো, সাভার, ঢাকা(আবাসিক) |
১। মাশরুম ও জৈব চাষাবাদ |
১০ |
০৪টি |
৩৮ জন |
|
২। পেষ্ট্রি এন্ড বেকারী প্রোডাক্ট |
১৫ |
০৪টি |
৬০ জন |
||
৩। ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং |
১৫ |
০৪টি |
৬০ জন |
||
৪। বেসিক কম্পিউটার |
২০ |
০৪টি |
৮০ জন |
||
উপমোট= |
২৩৮ জন |
||||
বেগম রোকেয়া প্রশিক্ষন কেন্দ্র, ময়মনসিংহ (আবাসিক)
|
১। হাউজ কিপিং এন্ড কেয়ার গিভিং |
২৫ |
০৪টি |
৬৪ জন |
|
২। বিউটিফিকেশন |
২৫ |
০৪টি |
৫৪ জন |
||
৩।ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং |
৫০ |
০৪টি |
১৮৫ জন |
||
৪। কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন |
৫০ |
০৪টি |
২০৪জন |
||
উপমোট= |
৫০৭জন |
||||
মহিলা হস্তশিল্প ও কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, দিনাজপুর (আবাসিক)
|
১। আধুনিক গার্মেন্টস |
২০ |
০৪টি |
৮০জন |
|
২। ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং |
৩০ |
০৪টি |
১০৫ জন |
||
৩। বেসিক কম্পিউটার |
১০ |
০৪টি |
৪০ জন |
||
উপমোট= |
২২৫জন |
||||
মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট,বাগেরহাট (আবাসিক) |
১। বিউটিফিকেশন |
২০ |
০৪টি |
৬৯জন |
|
২। কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন |
৪০ |
০৪টি |
১৫৪ জন |
||
৩। ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং |
৪০ |
০৪টি |
১৩১ জন |
||
উপমোট= |
৩৫৪জন |
||||
মা ফাতিমা (রা:)মহিলা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কমপ্লেক্সসারিয়াকান্দি, বগুড়া |
১। কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স |
২০ |
০৪টি |
৪০ জন |
|
২। মটর সাইকেল সার্ভিস |
১০ |
০৪টি |
২০ জন |
||
৩। ইলেকট্রিশিয়ান |
২০ |
০৪টি |
৪০ জন |
||
উপমোট= |
১০০ জন |
||||
মানবসম্পদ উন্নযন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রাজশাহী (আবাসিক) |
১। স্বেচ্ছাসেবি মহিলা নেতৃবৃন্দের স্বক্ষমতা বিকাশ প্রশিক্ষণ (টার্গেট ছিল ৩৬০ জন) |
- |
- |
৫৯৬জন
|
|
২। অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারিদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ |
- |
- |
৪০ জন |
||
উপমোট= |
৬৩৬জন |
||||
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ৬৪ জেলাধীন ১৩৬ টি উপজেলায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ০৩ টি উপজেলায় (সন্দ্বীপ, ভালুকা ও নাইক্ষংছড়ি)প্রশিক্ষণ বন্ধ আছে। |
দর্জি বিজ্ঞান, এমব্রয়ডারী |
৩০ জন
|
০৪টি |
১৫৯৬০জন |
|
|
উপমোট= |
১৫,৯৬০ জন |
|||
|
সর্বমোট= |
১৯,৭১২ জন |
|||
এক নজরে মানব সম্পদ উন্নয়ন কর্মসূচিমানব সম্পদ উন্নয়ন কর্মসূচি
২০১৪-১৫ অর্থ বছর হতে জানুয়ারী,২০১৬ পর্যন্ত বিদেশ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের নামের তালিকা