Wellcome to National Portal
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ মার্চ ২০২২

সচেতনা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম

জেন্ডার সংবেদনশীল ও সচেতনতা বৃদ্ধি মূলক কার্যক্রম
• নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধে যে সকল সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তাদের সমন্বয়ে মহিলা      বিষয়ক অধিদপ্তরের  নেতৃত্বে “Alliance  to Combat Trafficking  in Women and Children (ACTWC))” নামে একটি জোট গঠন করা হয়েছে।
• কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানী রোধে মহামান্য আদালতের হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রীট পিটিশন এর আলোকে অত্র অধিদপ্তরে একটি Complaint কমিটি গঠন করা হয়েছে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নীচ তলায় একটি অভিযোগ বাক্স রাখা হয়েছে। অভিযোগকারী মৌখিক ও টেলিফোনে কিংবা লিখিত অভিযোগ প্রদান করতে পারবে। পরিবীক্ষন, সমন্বয় ও সচেতনতা সৃষ্টি শাখার মাধ্যমে এই কমিটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। গঠিত কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক কর্মস্থেলে যৌন হয়রানী প্রতিরোধে গাইড লাইন সকলকে অবহিত করার জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
• খাদ্য ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এর অধীনে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের সি.ডি.এম.পি-২- প্রকল্পের এর সহায়তায় বিভিন্ন দূর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি  বাস্তবায়নের জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের প্রক্রিয়া হিসাবে বিভাগ ওয়ারী ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং একটি কন্টিজেন্সি ওর্য়াক প্লান তৈরী করা হয়েছে।
• যৌতুকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নিয়মিত মাঠ পর্যায়ের কার্যালয় সমূহে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এছাড়াও যৌতুক প্রতিরোধে জেলা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে যে সকল কর্মসূচি  গৃহীত হয়েছে তার তথ্য সংগ্রহপূর্বক সন্নিবেশিত আকারে প্রতিবেদন প্রতিমাসে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়।
• নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধে জেলা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে যে সকল কর্মসূচি  গৃহীত হয় তার তথ্য সংগ্রহপূর্বক সন্নিবেশিত আকারে প্রতিবেদন প্রতিমাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হচ্ছে।
• নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধে জেলা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে যে সকল কর্মসূচি  গৃহীত হয়েছে তার তথ্য সংগ্রহপূর্বক সন্নিবেশিত আকারে প্রতিবেদন প্রতিমাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হচ্ছে।
• তামাক ও ধোয়াঁবিহীন তামাকজাত দ্রব্য সেবনের প্রবনতা  নারীদের মধ্যে বেশী দেখা যায় । তৃনমূলে হতদরিদ্র মহিলাদের সচেতনতা করার লক্ষ্যে নারী গ্রস্থ প্রবর্তনা এর সহায়তায় ৩০ জন জেলা/উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পর্যায়ক্রমে  এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
• পারিবারিক সহিংসতা ঃ বাংলাদেশ আইনজীবি সমিতির মাধ্যমে পারিবারিক সহিংসতা ও মানবাধিকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় । দুটি ব্যাচে ৩০ জন জেলা/ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ  দেওয়া হয় । পর্যায়ক্রমে আরো অন্যান্য কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে । উল্লেখ্য যে মাঠ পর্যায়ে জেলা/উপজেলা  মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাগণ প্রয়োগকারী কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
• ‘‘Climate hange Induced Gender Concerns and Way Forward’’ শীর্ষক দিন ব্যাপী একটি কর্মশালা বিগত ১২ এপ্রিল ২০১২ আয়োজন করেছে। কর্মশালার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য/উপাত্তের ভিত্তিতে মহিলা  বিষয়ক অধিদপ্তরের জন্য একটি দুর্যোগের ঝুকি প্রশমন কর্মপরিকল্পনা (Disaster Risk Reduction Action Plan) ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত জেন্ডার সংবেদনশীল অভিঘাত সমূহ চিহ্নিত করণ ও করণীয় ভিত্তিক  একটি প্রকল্প প্রণয়ন করা হবে।
• বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন (BCCP) কর্তৃক ্আয়োজিত HIV/AIDS বিষয়টিকে মূলস্রোতধারায় আনয়নের লক্ষ্যে সচেতনতা মূলক কার্যক্রম গ্রহনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মসূচির সংগে সম্পৃক্ত এনজিও  এবং  মাঠ পর্যায়ে উপজেলা মহিলা  বিষয়ক কর্মকর্তা ও ট্রেড প্রশিক্ষকদের সচেতনতা মূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

১।

কার্যক্রমের নাম : জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশশীর্ষক কার্যক্রম।

২।

কার্যক্রম এলাকা : সমগ্র বাংলাদেশ।

৩।

বাস্তবায়নকাল:

 

ক)

আরম্ভ:

দীর্ঘ মেয়াদী: রাজস্ব বাজেটের আওতায় প্রতি বছর (আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ এবং বেগম রোকেয়া দিবস প্রতি বছরের ন্যায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা এবং ৫টি ক্যাটাগরীতে জয়িতা নির্বাচন)।

 

খ)

 শেষ:

৪।

অর্থ-বছর :  ২০২১-২২

৫।

আর্থিক উৎস:

 

ক্রমিক নং

মোট টাকা

(লক্ষ টাকায়)

জিওবি

(লক্ষ টাকায়)

প্রকল্প সাহায্য

(লক্ষ টাকায়)

দাতা সংস্থার নাম

মন্বব্য

 

১.

১৩০.০০

(এক কোটি ত্রিশ লক্ষ)

১৩০.০০

(এক কোটি ত্রিশ লক্ষ)

-

-

-

 

 

৬।

কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:

 

 লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:

 

  • সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের জয়িতাদের চিহ্নিত করে তাদের যথাযথ সম্মান, স্বীকৃতি ও অনুপ্রেরণা প্রদান করে সমাজের আপামর নারীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করা এবং তাঁদের জয়িতা হতে অনুপ্রাণীত করা;

 

  • নারীর অগ্রযাত্রায় সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে জয়িতাদের অগ্রসর হওয়ার পথ সুগম করা, ফলশ্রুতিতে জেন্ডার সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে দেশের সুষম উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা;

 

  • আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবসের মূল চেতনার সাথে সংগতি রেখে গতানুগতিকতার উর্ধে উঠে দিবস গুলো যথাযথ ভাবে উদযাপন করা।

 

নীতিমালার আলোকে ৫টি ক্যাটাগরি:

 

১. অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী;

২. শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী;

৩. সফল জননী নারী; 

৪. নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোম জীবন শুরু করেছেন যে নারী; এবং

৫. সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী।

 

বাস্তবায়ণ কৌশল :

 

  • প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদ স্ব স্ব ইউনিয়নে এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ স্ব স্ব ওয়ার্ডে ব্যাপক প্রচার ও অনুসন্ধানের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে আবেদনপত্র আহবান করবে। প্রাপ্ত আবেদনপত্র সমূহ ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে যাচাই বাছাই পূর্বক প্রতিটি ক্যাটাগরীতে ইউনিয়নের শ্রেষ্ঠ একজন করে নির্বাচিত মহিলার প্রস্তাব সত্যায়িত ছবি ও জীবনবৃত্তান্ত সহ উপজেলায় প্রেরণ।

 

  • উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে উপজেলা পর্যায়ের একটি কমিটি ইউনিয়ন পর্যায় এবং ওয়ার্ড পর্যায় হতে প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোর সত্যতা ও বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে প্রত্যেক ক্যাটাগরীতে একজন করে শ্রেষ্ঠ মহিলার প্রস্তাব জীবনবৃত্তান্ত এবং প্রদত্ত তথ্যের সত্যতা ও বস্তুনিষ্ঠতা সম্পর্কে প্রত্যয়ন ও প্রতিস্বাক্ষরসহ জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করবে।

 

  • জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে গঠিত একটি কমিটি সকল উপজেলা হতে প্রাপ্ত প্রত্যেক ক্যাটাগরীর প্রস্তাবগুলোর সত্যতা যাচাই করে জেলার শ্রেষ্ঠ একজনের (প্রত্যেক ক্যাটাগরীতে) প্রস্তাব  সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত প্রদত্ত তথ্যের সত্যতা ও বস্তুনিষ্ঠতা সম্পর্কে প্রত্যয়ন ও প্রতিস্বাক্ষরসহ বিভাগীয় কমিশনারের নিকট প্রেরণ করবে।

 

  • বিভাগীয় পর্যায়ে ৫ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচনের জন্য বিচারকমন্ডলী বিভাগীয় কমিটি হতে প্রাপ্ত ১০ জন জয়িতার তালিকা হতে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকের সামনে ৫ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচন করবেন এবং তাঁদের সম্মাননা প্রদান করা হবে।

 

                 

৪. জয়িতাদের সম্মানী:

 

 

২০১৫-১৬ হতে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত

২০২০-২১ অর্থবছর হতে

জাতীয় পর্যায়ে

নির্বাচিত জয়িতাকে সম্মাননা স্বরূপ (ক) ক্রেস্ট     (খ) সদনপত্র (গ) ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকার চেক এবং (ঘ) উত্তরীয় প্রদান করা হয়।

নির্বাচিত জয়িতাকে সম্মাননা স্বরূপ (ক) ক্রেস্ট      (খ) সদনপত্র (গ) ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকার চেক এবং (ঘ) উত্তরীয় প্রদান করা হয়।

 

বিভাগীয় পর্যায়

নির্বাচিত জয়িতাকে সম্মাননা স্বরূপ (ক) ক্রেস্ট (খ) সদনপত্র (গ) চূড়ান্ত নির্বাচিত ৫ জনকে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা এবং সকল অংশ গ্রহণকারী কে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকার চেক প্রদান করা হয়।

নির্বাচিত জয়িতাকে সম্মাননা স্বরূপ (ক) ক্রেস্ট (খ) সদনপত্র (গ) চূড়ান্ত নির্বাচিত ৫ জনকে ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা এবং সকল অংশ গ্রহণকারী কে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকার চেক প্রদান করা হয়।

 

জেলা পর্যায়

জয়িতা নির্বাচনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ১৫,০০০/- টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

জয়িতা নির্বাচনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ১৫,০০০/- টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

 

উপজেলা পর্যায়

জয়িতা নির্বাচনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ১০,০০০/- টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

জয়িতা নির্বাচনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ১০,০০০/- টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

 

৭।

অগ্রগতি:

 

  • ২০১৩-১৪ অর্থবছর হতে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত উপজেলা পর্যায়ে ১৮,০১৩ জন, জেলা পর্যায়ে ২,৫৬০ জন, বিভাগীয় পর্যায়ে ৩০৫ জন এবং জাতীয় পর্যায়ে ৩০ জন জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। 

 

  • ২০২০-২১ অর্থবছরের ৮টি বিভাগের ৬৪টি জেলা হতে উপজেলা পর্যায়ে ২০৯০ জন, জেলা পর্যায়ে ৩২০ জন এবং বিভাগীয় পর্যায়ে ৪০ জন জয়িতাকে নির্বাচন করা হয়। বিভাগীয় পর্যায়ে নির্বাচিত ৪০ জন জয়িতার মধ্যে হতে জাতীয় পর্যায়ে ৫ ক্যাটাগরীতে ৫ জন নির্বাচিত জয়িতাকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২২ এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

 

 

  • ২০২১-২২ অর্থবছরে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে জয়িতা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বিভাগীয় পর্যায়ে জয়িতা নির্বাচন প্রক্রিয়াধীন।

“ক্লাবে সংগঠিত করে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে কিশোর কিশোরীদের ক্ষমতায়ন” শীর্ষক  কর্মসূচির জুলাই ২০১২ হতে জুন ২০১৩ পর্যন্ত প্রতিবেদন।

কর্মসূচির নাম  :         ‘‘ক্লাবে সংগঠিত করে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে কিশোর কিশোরীদের ক্ষমতায়ন’’ ।
বাস্তবায়নকাল  :  জুলাই ২০১১  -  জুন  ২০১৪ ।
কর্মসূচির মোট  ব্যয় :   ৮৮৬.৩০  লক্ষ  টাকা ।
কর্ম এলাকাঃ ০৭টি বিভাগের ০৭টি জেলার (গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, ঠাকুরগাঁও, ঝালকাঠি, রাঙ্গামাটি, মৌলভীবাজার, সিরাজগঞ্জ) প্রতিটি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন তথা ৩৭৯টি  ইউনিয়ন এ ৩৭৯টি কিশোর কিশোরী ক্লাবের মাধ্যমে কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।
কর্মসূচির উদ্দেশ্যঃ কিশোর কিশোরীদের জীবন দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের জীবন মান উন্নয়ন, অধিকার প্রতিষ্ঠা  এবং  নারী  পুরুষ  বৈষম্যহীন ও পার¯পরিক সুরক্ষামূলক  সমাজ  গঠনের  অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি ও কিশোর কিশোরীদের মধ্যে পারস্পরিক  শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি, বন্ধুত্বপূর্ণ  সম্পর্ক  ও  ইতিবাচক  দৃষ্টিভঙ্গিঁ গড়ে তোলা।
কর্মসূচির লক্ষ্য : পরিবার ও সমাজের  সহায়ক  পরিবেশে কিশোর কিশোরীদের সক্রিয় এজেন্ট হিসাবে ক্ষমতায়ন করা।
  কর্মসূচির আওতায়  ক্লাবের কার্যক্রমঃ কিশোর কিশোরী ক্লাবে নিম্নলিখিত  কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে ঃ
ক)  বিভিন্ন খেলাধূলা (ক্যারাম, সাধারণ লুডু, বিশ্বভ্রমণ লুডু, দাবা, বাগাডুলি, ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেট ইত্যাদি)
 খ)   বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ( নাচ, গান, আবৃতি ও অভিনয় ইত্যাদি)
 গ)  বই লেনদেন ও বই পড়া
 ঘ)  পত্র-পত্রিকা পড়া
 ঙ) সামাজিক বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক কার্যক্রম
 চ)  বিভিন্ন দিবস উদ্যাপন (এইডস দিবস, শিশু  দিবস, বেগম রোকেয়া দিবস, নারী দিবস, শহীদ দিবস, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা ইত্যাদি)।
 ছ) বিভিন্ন বিষয়ে জীবন দক্ষতা মূলক শিক্ষা (বাল্য বিবাহ, যৌতুক, জন্ম নিয়ন্ত্রণ, জেন্ডার, তালাক, বয়সসন্ধি, মাদকাসক্তি, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, দূর্যোগ, এইচ আইভি এইডস ইত্যাদি)।
ক্লাবের সদস্যঃ প্রতিটি ক্লাবে সদস্য সংখ্যা ৩০ জন। তম্মধ্যে ১০ জন কিশোর ২০ জন কিশোরী। তাদের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছর। প্রতি ক্লাবে ০১ জন  কিশোর ও ০১ জন কিশোরী পিয়ার লিডার হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। তারা ক্লাবের সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন। ০৭টি জেলার ৩৭৯টি ক্লাবের মোট সদস্য সংখ্যা ১১,৩৭০ জন।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন দিবস/অনুষ্ঠান/কর্মশালা :
 নারী উন্নয়নে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অধিদপ্তরের   মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে নারী ইস্যুভিত্তিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি তৃণমূল পর্যায়ে ও গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়ে থাকে। জাতীয় পর্যায়ে এবং সদর কার্যালয়সহ ৬৪টি জেলা এবং জেলাধীন উপজেলা, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও মহিলা সহায়তা কর্মসূচি সমূহে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস সমূহ উদ্যাপন করা হয়। তন্মধ্যে: বেগম রোকেয়া দিবস, আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম দিবস, ২১শে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, মহান মে দিবস, ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস  ও বিজয় দিবস উল্লেখযোগ্য।

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস:
১৯৯৩ সাল হতে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রমের সাথে বাংলাদেশ একাত্মতা ঘোষণা করলেও  বাংলাদেশের পুরুষতান্ত্রিক  সমাজ ব্যবস্থা, মূল্যবোধ ও প্রচলিত রীতি নীতির কারণে  বাংলাদেশের ৪৭ ভাগ মহিলা কোন না কোনভাবে পুরুষ কর্তৃক বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়ে আসছে। যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশে নারীর প্রতি অসমতা, অমর্যাদা, শোষন, সামাজিক রীতিনীতি, অশিক্ষা ও অর্থকরী উন্নয়নে সুযোগ হীনতার অভাব প্রতিনিয়ত নারীর উন্নয়ন স্র্ােতধারাকে ব্যহত করছে। এসব কারণে নারী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং নারী পুরুষের মধ্যে বৈষম্য বিরাজ করছে। সামাজিক সম্পদ সংরক্ষণে অসম অবস্থানই মূলতঃ নারীর প্রতি শোষণ ও নির্যাতনকে অধিকতর বৃদ্ধি করছে।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ বিভিন্ন আইন রয়েছে এখনও  নারী নির্যাতন, যৌতুকের জন্য নারী হত্যা, নারী ও কন্যা শিশু অপহরণ ও পাচার, ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ, পারিবারিক নির্যাতন, যৌন হয়রানী ও অন্যান্য নারী নির্যাতনমূলক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। গ্রাম্য সালিশির মাধ্যমে ধর্মীয় অপব্যাখ্যা ও ফতোয়ার নামে বিচার বহির্ভূত শাস্তি প্রদানের ঘটনা ঘটছে। যা কখনও পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য কল্যাণকর নয়। নারী উন্নয়নের অংশ । দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তরান্বিত সহ টেকসই জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সকল ক্ষেত্রেই নারীর বর্র্ধিত অংশগ্রহণ ও উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নারীকে সম্পৃক্ত করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন উপলক্ষে ১৫ দিন ব্যাপি (২৫ নভেম্বর থেকে-১০ ডিসেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সমাজের সকল পর্যায়ে সরকারী ও বেসরকারী সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যাপক গণজাগরণ ও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। নারী শুধু নারী নয়। নারীও মানুষ। মানুষ হিসেবে নারী যেন সমাজে প্রতিষ্ঠা পেতে পারে, উন্নয়নের অংশ হিসেবে নারী যেন তার ভূমিকা পালন করতে পারে,  এ উদ্দেশ্যেই দেশব্যাপি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ৬৪ জেলা ৪১৩ টি উপজেলায় এবং প্রধান কার্যালয়ের আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে নারী নির্যাতন বিরোধী র্যালী,মানববন্ধন,সমাবেশ ও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান,পোষ্টার/ব্যানার ফেষ্টুন প্রর্দশন করা হয়।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস:
আন্তর্জাতিক নারী দিবস নারী সমাজের অধিাকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক অনন্য দিন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যথাযথ মার্যাদার সাথে দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে প্রধান কার্যালয় সহ বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলা ৪১৯ টি উপজেলায় বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। মানববন্ধন, র্যা লী, আলোচনা সভা, সেমিনার, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

‘মা’ দিবস:
পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র আর মধুর শব্দটি ‘মা’। হৃদয়ের গভীরে সদা জাগ্রত প্রাণ মাকে নিয়ে মা দিবস উদযাপদ উপলক্ষে ১৮ মে শুক্রবার বিকেল ৩.০০ টায় ৩৭/৩ ইস্কাটন গার্ডেন রোড, ঢাকায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গতানুগতিকতার বাইরে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে পড়ন্ত বিকেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব তারিক-উল-ইসলাম। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক জনাব মোঃ আশরাফ হোসেন, পরিচালক জনাব কামাল উদ্দিন ও অন্যান্য কর্মকর্তা বৃন্দ। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ৪৫ জন দম্পতি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। একজন নারী প্রফেশনাল হিসেবে তাঁর অফিস এবং হাউজ কিপার হিসেবে তাঁর পরিবার কিভাবে পরিচালানা করছেন তার প্রতিদিনের কথার আলোকে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হয়।
অনেক গৃহিণী মা আছেন, অথনৈতিক ভাবে অস্বচ্ছল মা আছেন তাঁরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে তাঁর পরিবার এবং সন্তানদের সমাজে প্রতিষ্ঠা করেছেন, মা’র এই কাজকে সহজ করার জন্য পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জেন্ডার সংবেদনশীল কি ভূমিকা হতে পারে এ বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়।
আমরা মা’কে বাঙ্গালীর আদি ‘মা’ রুপে দেখতে চাই। সেই মা’র পথ চলাকে জেন্ডার সংবেদনশীল করতে চাই। তাঁর Work লোড কমাতে চাই। সর্বোপরি Women frindly Socity প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ কারার বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পায়। সঞ্চালক জেন্ডার বিশেষজ্ঞ নিলুফার করিম এর সঞ্চালনে দম্পতিদের অভিজ্ঞতা প্রকাশ পর্ব পরিচালিত হয়। এ ছাড়াও র্যা ফেল ড্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আমন্ত্রিত দম্পতিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

মা ও শিশু স্বাস্থ উন্নয়নে, দারিদ্র বিমোচনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক  মন্ত্রণালয় এর আওতায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দরিদ্র মা ও শিশুদের স্বাস্থ পুষ্টির জন্য দেশব্যাপি ইউনিয়ন পর্যায়ে মাতৃত্বকাল ভাতা, শহর অঞ্চলে কর্মজীবী দরিদ্র মায়েদের জন্য ল্যাকটেটিং ভাতা প্রদান, কর্মজীবী মায়েদের শিশুদের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র ও প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা, কর্মজীবী মহিলা হোষ্টেল, মহিলা ও শিশুদের জন্য মেটাবলিক ও ডায়বেটিক হাসপাতাল,কার্ডিয়াক হাসপাতাল,হতদরিদ্র নারীদের জন্য দেশব্যাপি খাদ্য সহায়তা প্রদান এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।