Wellcome to National Portal
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ August ২০২৪

সচেতনা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম

পরিবীক্ষণ, সমন্বয় সচেতনতা সৃষ্টি শাখার তথ্যাদি

নারী অধিকার নারীর ক্ষমতায়নে ইতিবাচক মনোভাব সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন-বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ,কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি রোধ, মানব পাচার প্রতিরোধ ও অটিজম বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত কার্যক্রম :

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ :

□   বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে গঠিত কমিটিসমূহের কার্যক্রম মনিটরিং করা।

□  বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের লক্ষ্যে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ ও বিধিমালা ২০১৮ সম্পর্কে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের কর্মশালার মাধ্যমে অবহিত করা।

□   সদর কার্যালয় থেকে মাঠ পর্যায়ে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠক নিয়মিত ই মনিটরিং করা।

□  বাল্যবিবাহের হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে জেলা ও জেলাধীন উপজেলায় অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সভা, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, দিবস পালন ( আন্তর্জাতিক নারী দিবস,বেগম রোকেয়া দিবস, জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ইত্যাদি), উঠান বৈঠক, র‍্যালী, সমাবেশ, মানববন্ধন এ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের লক্ষ্যে সচেতন করা ।

□  উপপরিচালক (জেলা) ও উপজেলা পর্যায়ের মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কর্তৃক নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতি, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির (ভিডব্লিউবি, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতা, মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি) উপকারভোগী মহিলাদেরকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে সচেতন করা। 

 □ সদর কার্যালয়সহ জেলা ও উপজেলায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ (২৫শে নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর) উদযাপনকালে সভা, সমাবেশ, আলোচনা সভা, মানব বন্ধনের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রচার প্রচারনা চালানো ।

কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানী রোধ:

□ কর্মস্হলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধের লক্ষ্যে মহামান্য হাইকোর্ট প্রদত্ত নীতিমালার আলোকে অধিদপ্তরে গঠিত Complaint কমিটির সভা করা।

□ কর্মস্থলে যৌন হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ তৈরিতে মহামান্য হাইকোর্ট প্রদত্ত নীতিমালা সম্পর্কে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অবহিতকরণ কর্মশালার আয়োজন করা ।

মানব পাচার প্রতিরোধ:

□ নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে উপপরিচালক (জেলা) ও উপজেলা পর্যায়ের মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতি, ভিডব্লিউবি, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতা ,মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির উপকারভোগী মহিলাদেরকে নারী ও শিশু পাচাররোধ এবং কুফল সম্পর্কে সচেতন করা ।

অটিজম বিষয়ক :

  □ উপপরিচালক (জেলা) ও উপজেলা পর্যায়ের মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে ( নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতি, ভিডব্লিউবি, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতা, মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি) উপকারভোগী মহিলাদেরকে অটিজম সম্পর্কে সচেতন করা । 

    □  এপ্রিল দেশব্যাপী বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা।

 

 

১।

কার্যক্রমের নাম : জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশশীর্ষক কার্যক্রম।

২।

কার্যক্রম এলাকা : সমগ্র বাংলাদেশ।

৩।

বাস্তবায়নকাল:

 

ক)

আরম্ভ:

দীর্ঘ মেয়াদী: রাজস্ব বাজেটের আওতায় প্রতি বছর (আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ এবং বেগম রোকেয়া দিবস প্রতি বছরের ন্যায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা এবং ৫টি ক্যাটাগরীতে জয়িতা নির্বাচন)।

 

খ)

 শেষ:

৪।

অর্থ-বছর :  ২০২১-২২

৫।

আর্থিক উৎস:

 

ক্রমিক নং

মোট টাকা

(লক্ষ টাকায়)

জিওবি

(লক্ষ টাকায়)

প্রকল্প সাহায্য

(লক্ষ টাকায়)

দাতা সংস্থার নাম

মন্বব্য

 

১.

১৩০.০০

(এক কোটি ত্রিশ লক্ষ)

১৩০.০০

(এক কোটি ত্রিশ লক্ষ)

-

-

-

 

 

৬।

কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:

 

 লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:

 

  • সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের জয়িতাদের চিহ্নিত করে তাদের যথাযথ সম্মান, স্বীকৃতি ও অনুপ্রেরণা প্রদান করে সমাজের আপামর নারীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করা এবং তাঁদের জয়িতা হতে অনুপ্রাণীত করা;

 

  • নারীর অগ্রযাত্রায় সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে জয়িতাদের অগ্রসর হওয়ার পথ সুগম করা, ফলশ্রুতিতে জেন্ডার সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে দেশের সুষম উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা;

 

  • আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবসের মূল চেতনার সাথে সংগতি রেখে গতানুগতিকতার উর্ধে উঠে দিবস গুলো যথাযথ ভাবে উদযাপন করা।

 

নীতিমালার আলোকে ৫টি ক্যাটাগরি:

 

১. অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী;

২. শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী;

৩. সফল জননী নারী; 

৪. নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোম জীবন শুরু করেছেন যে নারী; এবং

৫. সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী।

 

বাস্তবায়ণ কৌশল :

 

  • প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদ স্ব স্ব ইউনিয়নে এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ স্ব স্ব ওয়ার্ডে ব্যাপক প্রচার ও অনুসন্ধানের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে আবেদনপত্র আহবান করবে। প্রাপ্ত আবেদনপত্র সমূহ ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে যাচাই বাছাই পূর্বক প্রতিটি ক্যাটাগরীতে ইউনিয়নের শ্রেষ্ঠ একজন করে নির্বাচিত মহিলার প্রস্তাব সত্যায়িত ছবি ও জীবনবৃত্তান্ত সহ উপজেলায় প্রেরণ।

 

  • উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে উপজেলা পর্যায়ের একটি কমিটি ইউনিয়ন পর্যায় এবং ওয়ার্ড পর্যায় হতে প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোর সত্যতা ও বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে প্রত্যেক ক্যাটাগরীতে একজন করে শ্রেষ্ঠ মহিলার প্রস্তাব জীবনবৃত্তান্ত এবং প্রদত্ত তথ্যের সত্যতা ও বস্তুনিষ্ঠতা সম্পর্কে প্রত্যয়ন ও প্রতিস্বাক্ষরসহ জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করবে।

 

  • জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে গঠিত একটি কমিটি সকল উপজেলা হতে প্রাপ্ত প্রত্যেক ক্যাটাগরীর প্রস্তাবগুলোর সত্যতা যাচাই করে জেলার শ্রেষ্ঠ একজনের (প্রত্যেক ক্যাটাগরীতে) প্রস্তাব  সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত প্রদত্ত তথ্যের সত্যতা ও বস্তুনিষ্ঠতা সম্পর্কে প্রত্যয়ন ও প্রতিস্বাক্ষরসহ বিভাগীয় কমিশনারের নিকট প্রেরণ করবে।

 

  • বিভাগীয় পর্যায়ে ৫ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচনের জন্য বিচারকমন্ডলী বিভাগীয় কমিটি হতে প্রাপ্ত ১০ জন জয়িতার তালিকা হতে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকের সামনে ৫ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচন করবেন এবং তাঁদের সম্মাননা প্রদান করা হবে।

 

                 

৪. জয়িতাদের সম্মানী:

 

 

২০১৫-১৬ হতে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত

২০২০-২১ অর্থবছর হতে

জাতীয় পর্যায়ে

নির্বাচিত জয়িতাকে সম্মাননা স্বরূপ (ক) ক্রেস্ট     (খ) সদনপত্র (গ) ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকার চেক এবং (ঘ) উত্তরীয় প্রদান করা হয়।

নির্বাচিত জয়িতাকে সম্মাননা স্বরূপ (ক) ক্রেস্ট      (খ) সদনপত্র (গ) ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকার চেক এবং (ঘ) উত্তরীয় প্রদান করা হয়।

 

বিভাগীয় পর্যায়

নির্বাচিত জয়িতাকে সম্মাননা স্বরূপ (ক) ক্রেস্ট (খ) সদনপত্র (গ) চূড়ান্ত নির্বাচিত ৫ জনকে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা এবং সকল অংশ গ্রহণকারী কে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকার চেক প্রদান করা হয়।

নির্বাচিত জয়িতাকে সম্মাননা স্বরূপ (ক) ক্রেস্ট (খ) সদনপত্র (গ) চূড়ান্ত নির্বাচিত ৫ জনকে ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা এবং সকল অংশ গ্রহণকারী কে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকার চেক প্রদান করা হয়।

 

জেলা পর্যায়

জয়িতা নির্বাচনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ১৫,০০০/- টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

জয়িতা নির্বাচনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ১৫,০০০/- টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

 

উপজেলা পর্যায়

জয়িতা নির্বাচনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ১০,০০০/- টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

জয়িতা নির্বাচনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ১০,০০০/- টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

 

৭।

অগ্রগতি:

 

  • ২০১৩-১৪ অর্থবছর হতে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত উপজেলা পর্যায়ে ১৮,০১৩ জন, জেলা পর্যায়ে ২,৫৬০ জন, বিভাগীয় পর্যায়ে ৩০৫ জন এবং জাতীয় পর্যায়ে ৩০ জন জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। 

 

  • ২০২০-২১ অর্থবছরের ৮টি বিভাগের ৬৪টি জেলা হতে উপজেলা পর্যায়ে ২০৯০ জন, জেলা পর্যায়ে ৩২০ জন এবং বিভাগীয় পর্যায়ে ৪০ জন জয়িতাকে নির্বাচন করা হয়। বিভাগীয় পর্যায়ে নির্বাচিত ৪০ জন জয়িতার মধ্যে হতে জাতীয় পর্যায়ে ৫ ক্যাটাগরীতে ৫ জন নির্বাচিত জয়িতাকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২২ এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

 

 

  • ২০২১-২২ অর্থবছরে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে জয়িতা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বিভাগীয় পর্যায়ে জয়িতা নির্বাচন প্রক্রিয়াধীন।

“ক্লাবে সংগঠিত করে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে কিশোর কিশোরীদের ক্ষমতায়ন” শীর্ষক  কর্মসূচির জুলাই ২০১২ হতে জুন ২০১৩ পর্যন্ত প্রতিবেদন।

কর্মসূচির নাম  :         ‘‘ক্লাবে সংগঠিত করে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে কিশোর কিশোরীদের ক্ষমতায়ন’’ ।
বাস্তবায়নকাল  :  জুলাই ২০১১  -  জুন  ২০১৪ ।
কর্মসূচির মোট  ব্যয় :   ৮৮৬.৩০  লক্ষ  টাকা ।
কর্ম এলাকাঃ ০৭টি বিভাগের ০৭টি জেলার (গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, ঠাকুরগাঁও, ঝালকাঠি, রাঙ্গামাটি, মৌলভীবাজার, সিরাজগঞ্জ) প্রতিটি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন তথা ৩৭৯টি  ইউনিয়ন এ ৩৭৯টি কিশোর কিশোরী ক্লাবের মাধ্যমে কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।
কর্মসূচির উদ্দেশ্যঃ কিশোর কিশোরীদের জীবন দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের জীবন মান উন্নয়ন, অধিকার প্রতিষ্ঠা  এবং  নারী  পুরুষ  বৈষম্যহীন ও পার¯পরিক সুরক্ষামূলক  সমাজ  গঠনের  অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি ও কিশোর কিশোরীদের মধ্যে পারস্পরিক  শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি, বন্ধুত্বপূর্ণ  সম্পর্ক  ও  ইতিবাচক  দৃষ্টিভঙ্গিঁ গড়ে তোলা।
কর্মসূচির লক্ষ্য : পরিবার ও সমাজের  সহায়ক  পরিবেশে কিশোর কিশোরীদের সক্রিয় এজেন্ট হিসাবে ক্ষমতায়ন করা।
  কর্মসূচির আওতায়  ক্লাবের কার্যক্রমঃ কিশোর কিশোরী ক্লাবে নিম্নলিখিত  কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে ঃ
ক)  বিভিন্ন খেলাধূলা (ক্যারাম, সাধারণ লুডু, বিশ্বভ্রমণ লুডু, দাবা, বাগাডুলি, ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেট ইত্যাদি)
 খ)   বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ( নাচ, গান, আবৃতি ও অভিনয় ইত্যাদি)
 গ)  বই লেনদেন ও বই পড়া
 ঘ)  পত্র-পত্রিকা পড়া
 ঙ) সামাজিক বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক কার্যক্রম
 চ)  বিভিন্ন দিবস উদ্যাপন (এইডস দিবস, শিশু  দিবস, বেগম রোকেয়া দিবস, নারী দিবস, শহীদ দিবস, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা ইত্যাদি)।
 ছ) বিভিন্ন বিষয়ে জীবন দক্ষতা মূলক শিক্ষা (বাল্য বিবাহ, যৌতুক, জন্ম নিয়ন্ত্রণ, জেন্ডার, তালাক, বয়সসন্ধি, মাদকাসক্তি, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, দূর্যোগ, এইচ আইভি এইডস ইত্যাদি)।
ক্লাবের সদস্যঃ প্রতিটি ক্লাবে সদস্য সংখ্যা ৩০ জন। তম্মধ্যে ১০ জন কিশোর ২০ জন কিশোরী। তাদের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছর। প্রতি ক্লাবে ০১ জন  কিশোর ও ০১ জন কিশোরী পিয়ার লিডার হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। তারা ক্লাবের সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন। ০৭টি জেলার ৩৭৯টি ক্লাবের মোট সদস্য সংখ্যা ১১,৩৭০ জন।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন দিবস/অনুষ্ঠান/কর্মশালা :

নারী উন্নয়নে ব্যাপক জনসচতেনতা সৃষ্টির লক্ষে প্রচারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে নারী ইস্যুভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি তৃণমূল পর্যায়ে বাস্তবায়নের লক্ষে নিম্নোক্ত দিবসসমূহ উদযাপন ও পালন করা হয়।

 

 

০১.

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস।

 

 

০২.

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস।

০৩.

মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার ‘বিশ্ব মা’ দিবস।

 

 

০৪.

৩০ সেপ্টেম্বর জাতীয় কন্যা শিশু দিবস।

০৫.

২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ।

০৬.

৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া দিবস।

০৭.

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস।

 

      উপরিউল্লিখিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিকদিবস উদযাপনের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন, অধিকার সংরক্ষণ ও নারী ও শিশুদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে।

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধপক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস :

      ১৯৯৩ সাল হতে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রমের সাথে বাংলাদেশ একাত্মতা ঘোষণা করেছে। যুগ যুগ ধরে  পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্হা, মূল্যবোধ ও প্রচলিত রীতিনীতির কারনে এ দেশের বেশীরভাগ নারীরা  কোনও না কোন ভাবে পুরুষ দ্বারা নিগৃহীত হয়ে আসছে যা নারীর উন্নয়ন স্রোতধারাকে ব্যহত করছে।

      নারী উন্নয়নকে গতিশীল করা এবং নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে এ দেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। তথাপি এখনও নারী নির্যাতন, যৌতুকের জন্য নারী হত্যা,বাল্যবিবাহ, নারী ও কন্যা শিশু অপহরণ ও পাচার, ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ, পারিবারিক নির্যাতন, যৌনহয়রানী ও অন্যান নারী নির্যাতনমূলক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে যা পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য অন্তরায়। নারী উন্নয়নের অর্থই হচ্ছে দেশের উন্নয়ন। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ টেকসই জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ সমাজ ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের  সকল ক্ষেত্রে  নারীর অধিক অংশগ্রহণ ও উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নারীকে সম্পৃক্ত করা অতীব জরুরী। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়গুলোর উপর গুরুত্বপ্রদান করে কাজ করে যাচ্ছে।

     আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধপক্ষ পালন উপলক্ষ্যে ১৫ দিনব্যাপী (২৫ নভেম্বর হতে ১০ ডিসেম্বর) সরকারী এবং বেসরকারী সমম্বিত উদ্যেগের মাধ্যমে বিভিন্ন সচেতনতামূলক  কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সমাজের সকল পর্যায়ে ব্যাপক গণজাগরণ ও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে নারী নির্যাতন বিরোধী র‍্যালী,মানববন্ধন,পোষ্টার/ব্যানার ফেস্টুন প্রদর্শন,সমাবেশ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া দিবস:   

       নারী শিক্ষার সম্প্রসারণ ও নারী মুক্তির অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর প্রতিবছর ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্হিতিতিতে ৫(পাঁচ) জন মহিয়সী নারীকে ৫টি ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য বেগম রোকেয়া পদকে ভূষিত করা হয়।

 

আন্তর্জাতিক নারী দিবস (০৮মার্চ) :

       আন্তর্জাতিক নারী দিবস নারী সমাজের অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক অনন্য দিন। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে  মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যেগে মন্ত্রণালয়াধীন দপ্তর/সংস্হা ও নারী সংগঠন/এনজিও সমূহের সমন্বয়ে দেশব্যাপী বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।  এছাড়া আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ০৮ মার্চ “অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী, সফল জননী নারী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী” এই ৫(পাঁচ)টি ক্যাটগরীতে ৫(পাঁচ)জন সফল নারীকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্হিতিতে জয়িতা সম্মাননা প্রদান করা হয়ে থাকে।

বিশ্ব মা’দিবস:

      সারা বিশ্বে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার যথাযোগ্য মর্যদায় বিশ্ব মা দিবস উদযাপিত হয়ে থাকে। এই ধারাবাহিকতায়  বাংলাদেশেও  সরকারী ও বেসরকারীভাবে দিবসটি উদযাপন করা হয়। পৃথিবীর সকল মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর প্রতিবছর  এই দিবসটি উদযাপন করে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে এ পর্যন্ত (২০১২ থেকে ২০২৪ সাল) সর্বমোট ৮৭ জন মা’কে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

 জাতীয় কন্যাশিশু দিবস :

        প্রতি বছর ৩০শে সেপ্টেম্বর জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপন করা হয়। কন্যা শিশুর প্রতি বৈষম্য হ্রাস কন্যা শিশুর অগ্রযাত্রাকে বেগবান করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে এ দিবসটি উদযাপন করা হয়। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, অধীনস্ত দপ্তর সংস্হা, সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে কার্যক্রম গুলো বাস্তবায়ন করে থাকে। দেশব্যাপী বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা,আলোচনা অনুষ্ঠান,প্রতিযোগিতা ইত্যাদি আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হয়।             

২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস:

        ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ভবন আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সদর কার্যালয়সহ মাঠ পর্যায়ে জেলা ও জেলাধীন উপজেলায় আলোচনাসভা ও  জাতীয় কর্মসূচীর আলোকে স্হানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়।

১৬ ডিসেম্বর  মহান বিজয় দিবস:

      ১৬ ডিসেম্বর  মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ভবন আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা সহ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।দিবস উদযাপনের অংশ হিসাবে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সদর কার্যালয় এবং মাঠ পর্যায়ে জেলা ও জেলাধীন উপজেলায় জাতীয় কর্মসূচীর আলোকে স্হানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। যে সকল জেলায় মহিলা সহায়তা কেন্দ্র, নারী হেফাজতীকেন্দ্র, আবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র রয়েছে সে সকল জেলায় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।