নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রম |
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কর্মসূচি
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় ১৯৮৬ সালে নির্যাতিত নারীদের আইনগত পরামর্শ ও সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ১ জন আইন কর্মকর্তার সমন্বয়ে ৪টি পদ নিয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৮৬ সালেই নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রম জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে সম্প্রসারিত হয়। ইউনিয়ন পর্যায়েও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়। এ কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী ও বেগবান করার জন্য জন্য মহিলা সহায়তা কর্মসূচি প্রকল্প নামে একটি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
এ প্রকল্পের আওতায় ৬টি বিভাগীয় শহরে নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে ৬টি সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। বর্ণিত প্রকল্পটি বর্তমানে রাজস্বখাতভূক্ত হয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মসূচি হিসেবে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও নারীর নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন নিরোধ কমিটি এবং প্রতিরোধ সেল:
মহিলা সহায়তা কর্মসূচি |
দেশের দু:স্থ, অসহায় ও নির্যাতিত নারীদের আইনগত সহায়তা প্রদানসহ নিরাপদ আশ্রয় প্রদান ও বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের ৬টি (ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট) বিভাগীয় শহরে এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর অধীনে নিম্নোক্তভাবে ২টি কার্যক্রম রয়েছে। ক) নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল : এই সেলের মাধ্যমে দেশের দু:স্থ, অসহায় ও নির্যাতিত মহিলাদের বিনা খরচে আইনগত পরামর্শ, কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার নারীদের বিভিন্ন ধরনের পারিবারিক কলহ মিমাংসা, পারিবারিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন, স্ত্রী ও সন্তানের ভরনপোষণ আদায়, তালাকপ্রাপ্ত মহিলাদের দেনমোহর ও সন্তানের ভরণপোষণ আদায়ের মাধ্যমে মহিলাদের আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়। কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে যে সকল অভিযোগ নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয় না, নির্যাতিত মহিলাদের পক্ষে সেলের আইনজীবির মাধ্যমে আদালতে মামলা পরিচালনা করা হয়। খ) মহিলা সহায়তা কেন্দ্র : এই কেন্দ্রের মাধ্যমে নির্যাতিতা ও আশ্রয়হীন মহিলাদের বিনা খরচে অভিযোগ /মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ৬(ছয়) মাস, বিশেষ প্রয়োজনে মহাপরিচালক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহোদয়ের অনুমোদনক্রমে ৩ মাস এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে আরো ৩ (তিন) মাস মোট ১ (এক) বছর অনুর্ধ ১২ বছরের দুটি সন্তানসহ আশ্রয় প্রদান করা হয়। পাশাপাশি বিনামূল্যে তাদের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান সহ সমাজে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কেন্দ্রে অবস্থানকালীন বিনা খরচে বিভিন্ন ট্রেডে (সেলাই, কাটিং, উল নিটিং ও এমব্রয়ডারি) প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। বাস্তব অগ্রগতিঃ
|
১. |
কর্মসূচির নাম |
: |
মহিলা, শিশু ও কিশোরী হেফাজতীদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র, গাজীপুর।
|
২. |
মন্ত্রণালয়/বিভাগ |
: |
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
|
৩. |
বাস্তবায়নকারী সংস্থা |
: |
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।
|
৪. |
অবস্থান |
: |
গাজীপুর জেলাধীন জয়দেবপুর উপজেলার মোগরখাল মৌজায় নিজস্ব ভবন।
|
৫. |
অর্থ-বছর |
: |
২০২১-২২
|
৬. |
বরাদ্দ |
: |
৯৩.৬৮ (তিরানব্বই লক্ষ আটষট্টি হাজার) টাকা, উৎস: জিওবি।
|
৭. |
অবস্থানকারী হেফাজতীদের ধরণ |
: |
মূলত আদালত হতে প্রেরিত বিভিন্ন মামলার ভিকটিম/হেফাজতীগণ (বাড়ী হতে পালায়ন, হারানো, ধর্ষন, হত্যা মামলার স্বাক্ষী ও অন্যান্য মামলা) কেন্দ্রে হেফাজতী হিসাবে অবস্থান করেন। |
৮. |
কেন্দ্রের ধারন ক্ষমতা |
: |
আদালত হতে প্রেরিত ১০০ জন হেফাজতীর ধারন ক্ষমতা এ কেন্দ্রের রয়েছে। তিন তলা বিশিষ্ট ডরমেটরী ভবনের ২য় ও তৃতীয় তলায় সর্বমোট ২০ টি রুমে ০৫ জন করে বর্তমানে মোট ১০০ জন হেফাজতী অবস্থানের সুযোগ রয়েছে। |
৯. |
উদ্দেশ্য |
: |
|
১০. |
প্রদত্ত সেবা সমূহ |
: |
|
১১. |
অগ্রগতি |
: |
প্রকল্পকালীন সময় ২০০৩ হতে আগষ্ট/২০২১ পর্যন্ত মোট ২১০৮ জন হেফাজতীকে আশ্রয়, খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থ-বছরের জুলাই/২০২১ হতে ফেব্রুয়ারী/২০২২ পর্যন্ত ৭২ জন নতুন হেফাজতী আগমন ঘটেছে। বর্তমানে কেন্দ্র ২৫ জন হেফাজতী অবস্থান করছে। ঢাকা সহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলার মহামান্য আদালতে আবাসান কেন্দ্রে অবস্থানরত হেফাজতীদের মামলা পরিচালিত হচ্ছে। |
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার |
||||||||||||
হেল্পলাইন নম্বর-১০৯ |
||||||||||||
ভূমিকা |
||||||||||||
বাংলাদেশ সরকার ও ডেনমার্ক সরকারের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরার প্রোগ্রামের আওতায় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর,৩৭/৩ ইস্কাটন গার্ডেনরোড, ঢাকা-১০০০ এর ৮ম তলায় এই সেন্টারটি অবস্থিত। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি) এই প্রকল্পের অনূকুলে ১০৯ নম্বরটি হেল্পলাইন হিসেবে প্রদান করে । সকল মোবাইল এবং অন্যান্য টেলিফোন হতে এই নম্বরে ফোন করা যায়। এইসেন্টারটি অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি এবং হালনাগাদ াপারেটিং সিস্টেম দ্বারা সমৃদ্ধ। এই সেন্টারে ২৪ ঘন্টা কল করা যাবে। আশা করা যায় যে,এই সেন্টারের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার মহিলা ও শিশু, তাদের পরিবার এবং সংশিস্নষ্ট অন্যান্য সকলে প্রয়োজনীয় তথ্য, পরামর্শসহ দেশে বিরাজমান সেবা এবং সহায়তা সম্পর্কে জানতে পারবে। |
||||||||||||
উদ্দেশ্য |
||||||||||||
নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর প্রয়োজনীয় সকল ধরনের সেবা এবং সহায়তা প্রদান নিশ্চিতকরণ। ভিকটিম এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের আইনী বিধি-বিধান সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান।সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে বিরাজমান অন্যান্য হেল্পলাইন সম্পর্কে তথ্য প্রদান।ভিকটিম এবং তার পরিবারের সদস্যদের মনোসামাজিক কাউন্সেলিং সেবা প্রদান।আইনসহায়তা প্রদানকারী সংস্থা এবং অন্যান্য সমাজকর্মীর মাধ্যমে বিশেষ পরিস্থিতিতে ভিকটিককে উদ্ধারে সহায়তা প্রদান। |
||||||||||||
জাতীয় পর্যায়ে নেটওয়ার্ক পদ্ধতি |
||||||||||||
নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরার প্রোগ্রামের সাথে সকলমোবাইলফোন কোম্পানী এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগকোম্পানী লিমিটেডের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ১০৯ নম্বরে সকলে যে কোন ধরনের মোবাইল এবং টিএনটিতে ফোন করতে পারে। ভিকটিম ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা সিভিল সার্জন,জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এবং সংশিস্নষ্ট মানবাধিকার সংগঠনের তথ্যসমূহ সংরক্ষণ করা হয়।ভিকটিম ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয় বিভিন্নসেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনাকর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এবং সংাশস্নষ্ট মানবাধিকার সংগঠনের তথ্যসমূহ সংরক্ষণ করা হয়। ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ডিএনএ ল্যাবরেটরীসমূহ, বাংলাদেশ পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উইমেন সাপোর্ট সেন্টর, জয়েন্ট প্রোগ্রাম অন ভাউ এর উইমেন সারভাইভারস সাপোর্ট সেন্টার (ইউএনএফপি এর সহায়তায় পরিচালিত ), মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ,সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন বেসরকারী সংগঠনসমূহের শেল্টার ৬/২৮/২০১২র হোম এবং সেইফ হোম এর সাথে নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়। |
||||||||||||
হেল্পলাইন সেন্টার প্রদত্ত সেবা এবং সহায়তা সমূহ |
||||||||||||
এই সেন্টারে ২৪ ঘন্টা ১০৯ নম্বরে ফোন করা যায়। ভিকটিম, তার পরিবার এবং সংশিস্নষ্ট অন্যান্যদের যে কোন জিজ্ঞাসা এবং প্রশ্নের উত্তর প্রদান। জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধর্মরক সংবাদ ও রিপোর্টসমূহ ফলো-আপ কারা। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এস এমএস, ই-মেইল এবং ফ্যাক্স এর সাহায্যে স্থানীয় প্রতিনিধি এবং সংস্থানসমূহকে তথ্য প্রদান এবং ভিকটিমকে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করা। ভিকটিম এবং পেশাজীবি (ডাক্তার, কাউন্সেলন, আইনজীবি, ডিএনএ বিশেষজ্ঞ, গবেষণা কর্মকর্তা এবং পুলিশ অফিসার) এর সাথে অন-লাইন যোগাযোগ রক্ষা করা। |
||||||||||||
হেল্পলাইন সেন্টারের মূল বৈশিষ্ট্য |
||||||||||||
প্রত্যক্ষ্ যোগাযোগের জন্য হেল্পলাইন হিসেবে বিশবসত্মতা রক্ষা।বিভিন্ন সহায়তার জন্য তথ্য এবং যোগাযোগের বিষয়সমূহের যথার্থতা। মহিলাদের সহায়তার জন্য অন্যান্য সেবার সাথে যোগসূত্র স্থাপন। নারী ও শিশু নির্যান প্রতিরোধে সামাজিক নেটওয়ার্ক ও জন সচেতনতা বৃদ্ধি। অধিকার বিষয়ক পরামর্শ এবং আইনী পরামর্শ। |
||||||||||||
যোগাযোগের পদ্ধতি |
||||||||||||
নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার |
||||||||||||
উদ্দেশ্যাবলীঃ |
||||||||||||
সংশিস্নষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালঢ ও বেসরকারী সংস্থাসমূহের সাথে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতনে সহিংসতা হ্রাস করা এবং সেবা কার্যক্রম জোরদারকরণ করা এ প্রকল্পের মূল উদ্ধেশ্য। সুনিদ্দিষ্ট উদ্দেশ্যাবলী হচ্ছে ;(১) নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে সমন্বিত গুণগতমান সম্পন্ন, দক্ষ ওটেকসইসেবা প্রদান; (২) নারী নিযৃাতন প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং সরকারী সেবা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম বৃদ্ধির জন্য সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সচেতন করা ; (৩) সমন্বিত/আমত্মমন্ত্রণালয় উদ্যোগের মাধ্যমে নারী নির্যাতন সম্পর্কিত কার্যক্রম গ্রহণে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ এবং (৪) নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আইন ও প্রক্রিয়াগত সংস্কার অর্জন এবং নারী নির্যাতন প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা। ব্যবস্থাপনা ও কার্যক্রমঃ দশটি মন্ত্রণালয়েরক অংশগ্রহণে বহুমূখী ব্যবস্থাপনা কাঠামোতে সম্পূর্ণ অনন্য আঙ্গিকে প্রকল্পটি বাসত্মবায়িত হচ্ছে। প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকান্ডে নিজস্ব দায়িতব ও ভহমিকা রয়েছে। ফলশ্রম্নতিতে প্রতিটি মন্ত্রণালয় প্রকল্প কম্পোনেনেটর অংশীদার্ পাইলট পর্বে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার এবং ১ম পর্বে ডিএনএ ল্যাবরেটরী প্রথমবারের মত বাংলাদেশে স্থাপিত হয়েছে। প্রকল্পের ২য় পর্বে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে নির্যাতহনের শিকার নারী ও শিশুদের জন্য কাউন্সেলিং সহায়তাকে অধিকতর জোরদার এবং ফলপ্রসু করার লক্ষ্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিয় সেন্টা স্থাপন করা হয়েছে। রংপুর এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেশের ৭ম ও ৮ম ওসিসি স্থাপন কা হয়েচে । প্রকল্পের ৩য় পর্বে চলমান কার্যক্রমসমূহ অধিকতর উন্নত ও গতিশীলসহ দেশের সকল নির্যাতনের শিকার নারীদের সেবা প্রাপ্তির সুবিধার্থে পর্যায়ক্রমে জেলা পর্যায়ে৪০ টি এবং উপজেলা পর্যায়ে ২০ টি ওয়ান স্টপ ক্রাইসিসসেল স্থাপন করা হবে। এই পর্বে নারনির্যাতন প্রতিরোধে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে এবং এ লক্ষ্য উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হবে। এছাড়াও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ব্যাপক গনসচেতনতা অভিযান গড়ে তোলা হবে। |
||||||||||||
নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল পদ্ধতি |
||||||||||||
|
||||||||||||
প্রকল্প বাসত্মবায়ন ইউনিট |
||||||||||||
|
||||||||||||
নির্যাতিত নারীদের জন্য হেল্পলাইন (ভাও হেল্পলাইন) |
||||||||||||
|
||||||||||||
ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ( ওসিসি) ও ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেল |
||||||||||||
বিভাগীয় মেডিকেল করেজ হাসপাতাল সমূহে অবস্থিত ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ( ওসিসি) প্রকল্পের একটি মূখ্য কর্মসূচী । নির্যাননিারীদের সকল প্রয়োজনীয় সেবা একস্থানথেকে প্রদান করার ধারণার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে ওসিসি। স্বাস্থ্যসেবা , পুলিশী সহায়তা , ডি এনএ পরীক্ষা সামাজিকসেবা, আইনী সহায়তা, মানসিক কাউন্সেলিং এবং আশ্রয়সেবাসমূহ ওসিসির মাধ্যমে প্রদান করা হয়। প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের প্রয়োজনীয় সকল সেবা একস্থান থেকে প্রদানের উদ্দেশ্যে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) স্থাপন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবা, পুলিশী ও আইনী সহায়তা, মানসিক ও সামাজিক কাউন্সেলিং, আশ্রয় সেবা এবং ডিএনএ পরীক্ষার সুবিধা ওসিসি হতে প্রদান করা হয়। |
||||||||||||
নির্যাতিত নারী ও শিশুদের সহায়তা কেন্দ্র(শেল্টারহোম) সমূহ: ১.নারী নির্যাতন প্রতিরোধসেল,মহিলা সহায়তা কর্মসূচী,মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, ঢাকা। ১/৬/এ, লারমাটিয়া,ব্লক-বি,ঢাকা।ফোনঃ ০২-৯১৩৫১৯৯,০২-৯৩৬১৪৯২। ২.নারী নির্যাতন প্রতিরোধসেল,মহিলা সহায়তা কর্মসূচী,মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, রাজশাহী। বহরমপুর শেষমাথা,রাজশাহী।ফোনঃ০৭২১-৭৬১০৬৫। ৩.নারী নির্যাতন প্রতিরোধসেল,মহিলা সহায়তা কর্মসূচী,মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম। মনছুরাবাদ(নতুন পাশপোর্ট অফিসের পার্শ্বে), ডবল মুরিং,চট্টগ্রাম। ফোনঃ০৩১২-৫২৬৮৭৬। ৪.নারী নির্যাতন প্রতিরোধসেল,মহিলা সহায়তা কর্মসূচী,মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, গাজীপুর। মোগর খাল,বিশ্বরোড,গাজীপুর। মোবাইলঃ০১৭৫৫৫০২৯১৩। ৫.নারী নির্যাতন প্রতিরোধসেল,মহিলা সহায়তা কর্মসূচী,মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর,খুলনা। রেলিগেট,দৌলতপুর,খুলনা। ফোনঃ০৪১-৭৭৫০৩২। ৬.নারী নির্যাতন প্রতিরোধসেল,মহিলা সহায়তা কর্মসূচী,মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, বরিশাল। কাশীপুর চৌমাথা (ডিজি এফআই অফিসের বিপরীতে ) বরিশাল। ফোনঃ ০৪৩১-৬৪৭০৮। ৭.নারী নির্যাতন প্রতিরোধসেল,মহিলা সহায়তা কর্মসূচী,মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, সিলেট এতিম স্কুল রোড, বাগবাড়ী,সিলেট। ফোনঃ ০৮২১-৭২২০৪০। |
||||||||||||
|